নিজস্ব প্রতিবেদক ||
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি হওয়ার বিরল সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর সালমান চৌধুরী। হার্ভার্ড, ইয়েল, প্রিন্সটন, কলাম্বিয়া, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আইভি লিগভুক্ত নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তার একাডেমিক কৃতিত্ব এবং পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে মিলেছে এই স্বপ্নপূরণের ডাক।
নিউ জার্সির প্যাসিফিক কাউন্টি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (পিসিটিআই) স্টেম একাডেমি থেকে সদ্য গ্র্যাজুয়েট হওয়া সালমান পড়াশোনায় যেমন মনোযোগী, তেমনি ছিল না কোনো দামি কোচিং বা অ্যাডমিশন কনসালট্যান্টের সহায়তা। বরং নিজের চেষ্টায় এবং পরিবার থেকে পাওয়া শিক্ষা ও শৃঙ্খলাকে সম্বল করে তিনি এগিয়েছেন সফলতার পথে।
সালমান চৌধুরী বলেন, “আমি কোনো নামকরা কোচিং বা অ্যাডমিশন গাইডের মাধ্যমে কাজ করিনি। বরং বাবা–মায়ের তিনটি অভ্যাস আমাকে ছোটবেলা থেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে শিখিয়েছে।”
সিএনবিসি-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিনটি অভ্যাসই সালমানের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তার পরিবার ছোটবেলা থেকেই তাকে বই পড়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত করেছে, প্রতিদিনের কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে এবং কঠোর পরিশ্রমের মূল্যবোধ শেখানো হয়েছে। এই তিনটি বিষয় তাকে তৈরি করেছে লক্ষ্যভিত্তিক একজন শিক্ষার্থী হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানেই মেধা, মনন ও যোগ্যতার চূড়ান্ত প্রতীক। এসব প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে এতগুলো থেকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্যই বিরল সম্মানের বিষয়। সালমান চৌধুরীর এই সাফল্য শুধুমাত্র তাঁর নয়, বরং এটি বাংলাদেশি অভিবাসী পরিবারগুলোর জন্যও এক গর্বের উপলক্ষ।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এক কিশোর কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করল? তার উত্তর লুকিয়ে আছে তার পরিবারকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, অধ্যবসায় এবং একাগ্র মনোভাবের মাঝে।
সালমান চৌধুরীর এই সাফল্য শুধু একটি কিশোরের জয় নয়, এটি প্রমাণ করে সুশিক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধ থাকলে অভিবাসী সমাজের সন্তানরাও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে নিজেদের মেধার ছাপ রেখে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: CNBC
https://slotbet.online/