• শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বরিশালে সাংবাদিকের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ: পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মচারী পরাগের বিরুদ্ধে ভয়–ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ। বাবুগঞ্জে এলসিএস প্রকল্প ‘সানজিদার ব্যক্তিগত দখলে : ঘুষ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে এলাকাজুড়ে ক্ষোভ। নতুন নেতৃত্বে চার বিভাগ — বদলে গেল বরিশাল প্রশাসনের চিত্র। দেড় যুগের মাদক ব্যবসার অবসান — কাউনিয়ায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শিল্পী আটক, বিপুল অর্থ–ইয়াবা, গাঁজা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার। নতুন রূপে শের-ই-বাংলা মেডিকেল — উদ্বোধন হলো ২২টি আধুনিক কেবিন। বিএনপির প্রথম দফা প্রার্থী তালিকায় বরিশাল বিভাগে ১৬ জন ক্যামেরা লেন্সই তার ভাষা — বরিশালের তরুণ ফটোগ্রাফার অর্নব দত্তর সাফল্যের গল্প। ফরচুন সুজের চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩ : কোটি টাকার পণ্য আত্মসাতের চেষ্টা। সরকারি চাকরিতে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বিতর্কে শিক্ষক ঈষিতা দে রাউজানে বিএনপি কর্মীর বাড়িতে র‍্যাবের অভিযান: বন্দুক-কার্তুজসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে বরিশালের একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ।

প্রতিনিধি / ৫৪৬ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ডেস্ক নিউজ |ধারাবাহিক প্রতিবেদন পর্ব–১

বরিশাল, ১৫ অক্টোবর —

জমিজমা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বরিশাল ও ঝালকাঠীর এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন একান্ত সচিব তোফাজ্জেল, যুবমহিলা লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আক্তার পপি এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে একজন তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগী ফারজানা রেজা, মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ নম্বর সেক্টরের গেরিলা কমান্ডার রেজা সক্তার ফারুকির কন্যা। জানা যায়, তার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল স্থানীয় যুবমহিলা লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আক্তার পপির সঙ্গে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়, এবং ২০১৭ সালে ফারজানার মা নিজ জমির দখল ও দলিল বুঝে নিতে মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ওই বিরোধকে প্রতিহিংসার রূপ দেন ইয়াসমিন পপি। পপি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব তোফাজ্জেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ফারজানার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ফারজানাকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নেয়া হয় কোতয়ালী থানা পুলিশের সদস্যদের মাধ্যমে। পরিবারের অভিযোগ, থানার নারী ও শিশু ডেস্কে টানা ৩৬ ঘণ্টা আটক রাখার পর তাকে সন্দেহজনক ধারায় জেলহাজতে পাঠানো হয়— পরিবর্তিতে সারাদেশের বিভিন্ন চুরি মামলার আসামী দেখানো হয়, যা আইনবহির্ভূত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। জেলহেফাজতে গিয়েও স্বস্তি পাননি ফারজানা রেজা। তিনি জানান, কারাগারে তাকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্থ করা হয়। কিছু পুলিশ সদস্য নিয়মিতভাবে কারাকর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো— যাতে তিনি মুক্তি পেলেই নতুন করে অন্য মামলায় আসামি করে আবারও তাকে জেলে পাঠানো যায়। ফারজানা বলেন, পরিস্থিতি এমন ছিলো যে আমি প্রতিদিন ভয়ে থাকতাম, জেল থেকে বের হলে হয়তো আবারও গ্রেফতার হবো, আমাকে রিমান্ডে নেয়া হয় কিন্ত সেখানে কোন মহিলা পুলিশ ছিলোনা। জেলে থেকেই, সিলেট, কুমিল্লাসহ সারাদেশের বিভিন্ন বিভাগে মামলার হাজিরা দিতে যেতে হয়। যা একজন মহিলা মানুষ জন্যে চরম হয়রানির প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফারজানার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে সিলেটের এক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান তদন্তকালীন সময়ে মামলায় ফারজানার জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা তিনি কোথায়ও খুঁজে পাননি আর তৎকালীন সিনিয়রদের আদেশক্রমেই ফারজানাকে আসামী দেখানো হয় যা মূলত স্পষ্ট ইংগিত করে কোন একটি ক্ষমতাশীল মহলের পুরো ঘটনার সাথে জড়িত থাকার। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে একাধিক স্থানীয় রাজনীতি সচেতন সূত্র জানিয়েছে, ফারজানার ওপর এই নির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা এবং তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তারা জমির মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন নাগরিক সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, যিনি নিজেও যুবমহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, যদি এমন অন্যায়ের শিকার হন, তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থাটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে? তাদের মতে, এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারই আওয়ামীলীগ পতনের একটি কারন এবং যা দেশের মানুষকে প্রশাসনের প্রতি অবিশ্বাসী করে তুলেছিলো। আরো বলেন যে যতই বলুক মেটিকুলাস ডিজাইন্ড আসলে প্রবাদে আছে না, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকনা বিন্দু বিন্দু জল মিলে হয় মহাদেশ সাগর অতল। আওমীলীগের প্রতি ক্ষোভের শেষ বহিঃপ্রকাশ হলো ছাএ আন্দোলনে আমজনতার স্বতঃস্ফূর্ত  অংশগ্রহন। অপরদিকে, সূত্র বলছে, তৎকালীন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি আলী আশরাফ ভূঁইয়া ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে সরাসরি কঠোর ভূমিকা পালন করেন, একপর্যায়ে তিনি আহতও হন। অনলাইন এবং বরিশালের বিভিন্ন পএিকার পুরোনো প্রতিবেদন গুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ফারজানার বিরুদ্ধে বরিশালে দেয়া মামলাগুলোর বিষয়ে ডিসি আলী আশরাধ ভুইয়া সরাসরি মিডিয়ায় বক্তব্য দেন সেই সময়ে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রশাসনিক প্রভাব ব্যবহার করে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানো দেশের গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থার জন্য বড় হুমকি। এই ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় না আনা হলে প্রশাসনিক কাঠামোতে ভয়াবহ অনিয়ম স্থায়ী হয়ে উঠতে পারে। ফারজানা রেজা দাবি করেছেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সব অভিযোগের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নিজের নির্দোষিতা প্রমাণ করবেন। পরিবর্তী পর্বে থাকছে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছাড়া কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ফারজানাকে সারাদেশের বিভিন্ন মামলার আসামী করা হয়, কে এই যুবমহিলা লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আক্তার পপি? একান্ত সচিব তোফাজ্জেল ও পুলিশ কর্মকর্তা আলী আশরাফ এর নানা অপকর্মের বিশদ বর্ননা। চোখ রাখুন নাগরীক বরিশাল এর ফেসবুক পেইজে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...

https://slotbet.online/