বরিশাল, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫:
বিগত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) গোয়েন্দা শাখা এক বিশেষ অভিযানে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যুবককে আটক করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার ২৯নং ওয়ার্ডের লাকুটিয়া সড়কের বাঘিয়া এলাকায় আল-আমিন জামে মসজিদের সামনে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় ও স্থানীয় বেশকিছু গণমাধ্যম এর উপস্থিতিতে পরিচালিত সফল এই অভিযানের প্রশংসা করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। তবে নগরীর কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ঘটনাটিকে ঘিরে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএমপি গোয়েন্দা শাখার একাধিক সূত্র জানিয়েছে,
মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো পুলিশের কাজের আগ্রহ, মনোবল ও স্পৃহা নষ্ট করা। সূত্র আরও জানায়, এমনিতেই ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে কোনো সফল অভিযানের পর পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হলে তা বাহিনীর কাজের গতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ডিবি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
কিন্তু একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। আমরা আইন অনুযায়ী এর মোকাবিলা করব।
ঘটনার পর জাতীয় দৈনিক ও কয়েকটি স্থানীয় নিউজ পোর্টালে অভিযোগ করা হয় যে অভিযানে ১৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পরও পুলিশ মাত্র ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা করেছে। এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে পুলিশ।
অভিযান সম্পর্কিত আরও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত মাদকের একটি বড় অংশ ছিলো বরিশালের এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না সংবাদে । মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মোটরবাইক জব্দ করে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযানের আগে বাবু নামে এক যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। জানা যায় বাবু নামের ঐ যুবকও এই মাদকের চালানটি পরিবহনের সাথে জড়িত ছিল। সবকিছু মিলিয়ে একটি রহস্যের কারন বলে মনে হয় সাধারনভাবেই আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগিয়ে ডিবি পুলিশের বিরূদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করাচ্ছে কিছু অপরাধী চক্র।
সম্প্রতি বরিশালে নগরীতে আলোচিত হত্যা মামলা, ডাকাতি, নকল সোনার চক্র, জাল টাকা ও মাদক উদ্ধারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে প্রশংসা কুড়িয়েছে বিএমপি গোয়েন্দা শাখা। এতে অপরাধচক্রের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলেও জানা গেছে। এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জানায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রহস্য উদঘাটন এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।
https://slotbet.online/